@coronavirus COVID-19 #করোনাভাইরাস কি এবং কেন হয় ও এর প্রতিকার
সম্প্রতি #চীনের হুবেই প্রদেশের প্রধান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন এক রোগের জীবাণু নভেল করোনাভাইরাস.এই ভাইরাসের কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সারা পৃথিবী জুড়ে স্বাস্থ্যখাতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে কি-কেন-কিভাবে এই পর্বে জানাব নতুন আবিষ্কৃত রোগের জীবাণু নোবেল করোনা ভাইরাস. করুনকরোনাভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন কোন শব্দ থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ মুকুট কারণ বৈদ্যুতিক অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ভাইরাসটি দেখতে অনেকটা
মুকুটের মতন 960 এর দশকে মুরগির সংক্রামক ভাইরাস হিসেবে প্রথম করোনাভাইরাস আবিষ্কৃত হয় পরবর্তীতে মানুষের সাধারণ সর্দি-কাশিতে দুই ধরনের ক্লোরোপ্লাস্ট পাওয়া যায় মানুষের মধ্যে পাওয়া সেই ভাইরাস দুটি হিউম্যান করানো হয়নি এবং হিউম্যান করোনাভাইরাস নামে নামকরণ করা হয় 2012 সালে আরো বেশ কিছু প্রজাতি দেখা যায় সর্বশেষ 2019 সালের শেষের দিকে একটি নতুন নামকরণ করা হয়নি তাই একে বলা হয় তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যেই #করোনাভাইরাস পরিবারে নতুন সদস্যের নামকরণ করেছে #2009-ncov নামে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা গেছে যা মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে.
2002 সালের সার্চ এবং 2012 সালের মার্চ নামে যে দুটি মারাত্মক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল সে দুটিও ছিল এক ধরনের করোনাভাইরাস 2019 সালের 31 ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করনা ভাইরাসের এই নতুন প্রজাতির সংক্রমণ দেখা দেয় 2020 সালের 31 জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র এক মাসের ব্যবধানে চীনসহ বারটি দেশে প্রায় দশ হাজারেরও বেশি লোক এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে প্রায় 2 শতাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে আক্রান্তদের সিংহভাগই চীনের নাগরিক এবং এখনও পর্যন্ত চীনের বাইরের কেউ এই রোগে মারা যায়নি প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে যে কোন শহরের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে সাপের মাধ্যমে এই ভাইরাসটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছে ওই বাজারে কুকুর বিড়াল ইঁদুর সহ নানা রকমের বন্যপ্রাণী খাবার হিসেবে বিক্রি করা হয় প্রথমদিকে আক্রান্তদের অনেকেই গিয়েছিল বলে চিকিৎসকেরা ধারণা করেছেন .
ভাইরাসটি ছড়াতে পারে তবে ইসরাইলের সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা চীনের একটি জীবাণু অস্ত্রের কারখানা থেকে নতুন কোন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাস নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে চীনের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির গবেষণাগার টি হচ্ছে #ইনস্টিটিউট_অফ_বায়োলজি(#institute_of_ biology) China চীনা কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছিল যে এই গবেষণাটিতে তারা মারাত্মক প্রাণঘাতী নিয়ে গবেষণা করে আর এখন এই শহর থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে লক্ষণগুলো অনেকটা #
নিউমোনিয়ার মতো এই #ভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ
রোগের লক্ষণ সেইসাথে সর্দি বা শুকনো কাশি মাথাব্যথা গলাব্যথা ওর শরীর ব্যথা শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন মানুষের দেহে কোন ভাইরাস সংক্রমণের পর 1 থেকে 14 দিনের মধ্যে এর লক্ষণ দেখা দিতে পারে .
তবে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশের আগে ও তার কাছ থেকে এই রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে সাধারণত এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে একেবারেই নতুন আবিষ্কৃত হওয়াতে এই মুহূর্তে এই রোগের কোন নির্দিষ্ট ঔষধ চিকিৎসা নেই.
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে কিছুদিন পর সাধারণ সর্দি কাশির মতো এমনিতেই এই রোগ সেরে যেতে পারে .
#ডায়াবেটিস কিডনি হৃদযন্ত্র ফুসফুস এর পুরনো রোগীদের ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে .
তবে নতুন এই #করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই কারণ প্লাস্টিকের যতটা মারাত্মক মনে করা হয়েছিল এটি ততটা নয় ক্রমবর্ধমান কোন ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের কে পৃথক করে রাখতে চীনারা নতুন হাসপাতাল নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে .
ধারণা করা হচ্ছে মাত্র এক সপ্তাহ থেকে 10 দিনের মধ্যে তারা বেশকিছু নতুন হাসপাতাল তৈরি করে ফেলতে পারবেন
করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষা রাখার উপায় :-
• ঘন ঘন আপনার হাত ধুয়ে নিন
আপনার সাবান এবং জল দিয়ে ঘন ঘন আপনার হাত ধোয়া বা আপনার হাত দৃশ্যমান ময়লা না হলে অ্যালকোহল-ভিত্তিক হাত ঘষা ব্যবহার করুন।
কেন? সাবান ও জল দিয়ে আপনার হাত ধোয়া বা অ্যালকোহল-ভিত্তিক হাত ঘষা ব্যবহার আপনার হাতের মধ্যে থাকা ভাইরাস দূর করে।
• হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় তোমায় তোমার টিস্যু ব্যবহার করুন এবং তা ধুয়ে ফেলুন অথবা ছেলে দিন এবং সঙ্গে সঙ্গে ভালো করে হাত মুখ ধুয়ে ফেলুন
কেন? কাশি এবং হাঁচি দেওয়ার সময় আপনার মুখ রাখা জীবাণু এবং ভাইরাসের বিস্তারকে রোধ করে। যদি আপনি হাঁচি বা কাশি আপনার হাতে করেন তবে আপনি যে জিনিসগুলি বা লোকদের স্পর্শ করেন তা দূষিত করতে পারেন।
• সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন
নিজের এবং অন্যান্য ব্যক্তির মধ্যে কমপক্ষে 1 মিটার (3 ফুট) দূরত্ব বজায় রাখুন, বিশেষত যারা কাশি, হাঁচি খাচ্ছেন এবং জ্বর রয়েছে।
• চোখ, নাক এবং মুখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন
কেন? হাতগুলি অনেকগুলি পৃষ্ঠকে স্পর্শ করে যা ভাইরাস দ্বারা দূষিত হতে পারে। আপনি যদি দূষিত হাত দিয়ে চোখ, নাক বা
মুখ স্পর্শ করেন তবে আপনি ভাইরাসটিকে পৃষ্ঠ থেকে নিজের দিকে স্থানান্তর করতে পারেন।
📌
this blog write date was 3feb 2020
বিদ্র:-কোন জায়গায় ভুল হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন🙏
0 Comments